হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম। বিশ্ববিখ্যাত এ হাড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে।
হাড়িভাঙ্গা আম একটি মধ্যম আকারের আম। আমের আকার গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি। আমটির খোসা পাতলা ও সবুজ বর্ণের। পাকলে খোসা হলুদ বা কমলা বর্ণের হয়ে যায়। আমের শাঁস হলুদ বা কমলা বর্ণের, খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। আমের শাঁসের রস বেশি। আমের শ্বাস খুবই ছোট। আমের বীজও খুবই ছোট।
হাড়িভাঙ্গা আম সাধারণত জুন মাসের শেষের দিকে পাকে। হাড়িভাঙ্গা আম খুবই টেকসই। আমটি প্রায় এক মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
হাড়িভাঙ্গা আম শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। হাড়িভাঙ্গা আম ভিটামিন A, C, K, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ।
হাড়িভাঙ্গা আম একটি অর্থকরী ফসল। হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন।
হাড়িভাঙ্গা আমের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
- আমের আকার মধ্যম।
- আমের খোসা পাতলা ও সবুজ বর্ণের।
- পাকলে খোসা হলুদ বা কমলা বর্ণের হয়ে যায়।
- আমের শাঁস হলুদ বা কমলা বর্ণের, খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি।
- আমের শাঁসের রস বেশি।
- আমের শ্বাস খুবই ছোট।
- আমের বীজও খুবই ছোট।
- হাড়িভাঙ্গা আম সাধারণত জুন মাসের শেষের দিকে পাকে।
- হাড়িভাঙ্গা আম খুবই টেকসই।
- আমের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
হাড়িভাঙ্গা আম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এই আমটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের কাছেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয়।
হাড়িভাঙ্গা আমের মিষ্টি স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য তা সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থায় তৈরি করতে হয়। এই আম দিয়ে বানানো হলে মিষ্টি, চামচ চটকানো গুড়ি এবং আমপানা বা আমপাপড়ি তৈরি হয়, যা বাঙালি বাড়িওয়ালা বা রাঁধুনিওয়ালা হিসেবে খুবই প্রিয়।
হাড়িভাঙ্গা আম বিভিন্ন খাদ্য এবং ডিজার্টে ব্যবহৃত হয়, এমনমন্ত্র একটি আমসাসু (আমের শর্বত) এবং অন্যান্য মিষ্টির রেসিপি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।